বিদেশে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যে ছয়টি বিষয় আপনার জানা জরুরী

আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার অনেক আগ্রহ আছে। তবে বিদেশ যাওয়ার জন্য যেসব তথ্য প্রয়োজন এবং যেই মন-মানসিকতা স্থির করা প্রয়োজন আপনি কি সেটা করেছেন? বিদেশে লেখাপড়ার জন্য আবেদন করার আগে কিছু বিষয় চিন্তা করা প্রয়োজন যা আপনার পরিকল্পনা কে আরো দৃঢ় করে তুলবে। আমাদের আজকের পরিবেশনায় আমরা উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরছি:
১. বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা - আপনি কি ভেবে দেখেছেন বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি? আপনি কি নিজ দেশে কোন কিছুর ঘাটতি অনুভব করছেন? আপনি কি এমন কিছু করতে চাচ্ছেন যা দেশে নেই? সে ক্ষেত্রে আপনি বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।
২. আত্ম সমৃদ্ধি - বিদেশে লেখাপড়া করলে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা বুদ্ধিমত্তা ও মননশীলতার দিক থেকে মানুষ সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। মানুষ নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ভাবতে শিখে এবং মানুষের মানবিক বিকাশ ঘটে। বিদেশ থাকলে মানুষের আলাদা একটি অভিজ্ঞতা গড়ে ওঠে এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানা হয়।
৩. পেশাগত দক্ষতা - আপনার লেখাপড়ার বিষয়ে যদি এমনটা হয় যেসব এর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র- সামগ্রী বাংলাদেশের নেই সে ক্ষেত্রে বিদেশে লেখাপড়া করে চাকরিতে যোগ দিলে আপনার পেশাগত দক্ষতা অর্জন হবে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশে এখনও এই ধরনের কোন কেন্দ্র নেই সেই ক্ষেত্রে বিদেশি হতে পারে আপনার একমাত্র সুযোগ।
৪. দেশ নির্বাচন - বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য আপনাকে দেশ বাছাই করতে হবে। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন দেশে লেখাপড়া করতে আগ্রহী, সেখানে যাওয়া সম্ভব কিনা এবং সেখানে যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।
৫. পরীক্ষা এবং কোর্স- বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে জিয়ারি, টোফে্ল এবং আইএলটিএস পরীক্ষা। আমার অনেক দেশে ইংরেজি ছাড়া ভিন্ন ভাষা হওয়াতে সেই দেশের ভাষা কোর্স শেষ করে যেতে হয়। আপনি যে দেশে যেতে ইচ্ছুক এবং যেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই প্রয়োজন মোতাবেক আপনাকে এগোতে হবে।
৬. টাকা-পয়সা এবং ভিসা - বিদেশে পড়ার জন্য টাকা পয়সার প্রয়োজন। আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবেন সেখান থেকেই আপনি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন যে আপনার কত টাকা লাগতে পারে। আপনি যদি বৃত্তি পান তবে এই খরচটা কমে আসবে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্সে ভালো নম্বর তুলতে পারলে সেক্ষেত্রেও আপনার খরচ কমে আসবে। ভিসা বিষয়টা হলো আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের এম্বাসিতে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে এবং তারাই আপনাকে বিস্তারিত বলে দিবে।