top of page

যে ৩ ধরনের ভিসায় চাকরী বা ব্যবসা না করেই দুবাই তে থাকা যায়




মুসলিম বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষস্থানীয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩১তম। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু দুবাইয়ের ৩৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাণিজ্য কর,পর্যটন, বিমান চালনা, রিয়েল এস্টেট ও আর্থিক পরিষেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর নির্ভরশীল।

প্রাচুর্যের শহর দুবাইতে বসবাসের ইচ্ছা কম বেশি সবারই থাকে। দুবাই শহরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ৮৩%। প্রতি বছর বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া,পাকিস্তান থেকে অনেক মানুষ কাজ ও ব্যবসার উদ্দ্যেশ্যে দুবাই যায়। তবে যারা কাজ বা ব্যবসার ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে পারছেন না বা বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় কাজের থেকে অবসর গ্রহণ করে ফেলেছেন তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। চাকরী বা ব্যবসার ভিসা ছাড়াও আপনি ৩ ধরনের আবাসিক(রেসিডেন্ট) ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারবেন। দুবাই সহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৬ টি আমিরাতে আবাস স্থাপন করতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য স্ব-স্পন্সরড রেসিডেন্স ভিসার তিনটি স্বতন্ত্র বিভাগ রয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ভিসা:

আপনি UAE রিয়েল এস্টেটে কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি দুই বছরের জন্য একটি সেল্ফ-স্পন্সরড রেসিডেন্স ভিসা পেতে পারেন বা ১০ বছরের জন্য গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই বছরের আবাসিক ভিসা: আপনি দুবাই ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের (DLD) কিউব সেন্টারের মাধ্যমে প্রপার্টি ইনভেস্টর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন যদি আপনি বা আপনার স্ত্রী যৌথভাবে কমপক্ষে ৭৫০,০০০ দিরহাম বা সমান পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হন।

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীদের জন্য গোল্ডেন ভিসা:

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম মূল্যের একটি বাড়ি কিনেছেন তারা গোল্ডেন ভিসার জন্য যোগ্য নির্দিষ্ট

স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সম্পত্তি কেনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা একটি গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন। স্বীকৃত স্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন দিরহাম মূল্যের এক বা একাধিক অফ-প্ল্যান সম্পত্তি কেনার মাধ্যমেও বিনিয়োগকারীরা গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন।


UAE রিটায়ারমেন্ট ভিসা :


আবেদনকারীকে অবসর গ্রহণের সময় ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সের হতে হবে।

তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিতরে বা বাইরে কমপক্ষে ১৫ বছরের কম সময়ের জন্য কাজ করতে হবে, আবেদনকারীর ১ মিলিয়ন দিরহাম বা সমপরিমাণ মূল্যের বেশি সম্পদ,১ মিলিয়ন দিরহাম বা তার বেশি সঞ্চিত অর্থ কিংবা ২০,০০০ দিরহাম মাসিক আয়(মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারীর ১৫,০০০ দিরহাম) থাকতে হবে। আবেদনকারীকে বিগত ছয় মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।


রিমোট (ঘরে বসে কাজ) ওয়ার্ক ভিসা:


এই ভিসা ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা নামে সুপরিচিত। এ ভিসার মাধ্যমে প্রবাসীরা আমিরাতে থাকতে এবং অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে কাজ করতে পারবে। এই ভিসার জন্য প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো প্রবাসীদের অপরাধের রেকর্ড থেকে মুক্ত থাকা। ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে চাকরির প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে, যেমন আপনার নিয়োগকর্তার একটি চিঠি, একটি চুক্তি, বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রমাণ। আপনার মাসিক আয় কমপক্ষে 12,853 দিরহাম বা এর সমতুল্য হওয়া উচিত। থাকার উদ্দেশ্য সময়কাল ও ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট। এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আপনার বসবাসের জন্য একটি বৈধ স্বাস্থ্য বীমা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাসকারী প্রবাসীরা দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত বা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকুক না কেন তারা সম্পত্তি ক্রয় করার, একটি এমিরেটস পরিচয়পত্র পাওয়ার এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা স্পনসর করার সুযোগ রয়েছে। এই সুবিধাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবাসিক ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যা ব্যক্তিদের আমিরাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে সাহায্য করে।


বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ 01952-000700

5 views

Comments


bottom of page